নিজের বউকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে তিনবছর পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরছে সমুদ্র। আদালতের সামনে একটা দামি গাড়ি এসে দাঁড়ায় গাড়ি থেকে নামে দুইজন। একজন পুরুষ যার নাম সমুদ্র চৌধুরী আর একজন মহিলা যার নাম রাইমা। সমুদ্র আর রাইমা আদালতের ভিতরে চলে যায় সেখানে তার পুরো পরিবার তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
সমুদ্রকে দেখে তার বাবা মিস্টার আহনাফ আর মম নাবিলা চৌধুরী এবং পরিবারের সবাই সদস্য খুশি হয়ে যায়। তারা গিয়ে জড়িয়ে ধরে সমুদ্রকে এরপর বলে -
"- সমুদ্র ফাইনালি তুমি দেশে ফিরলে। এতো বছর শুধু অপেক্ষা করেছি এইদিনের জন্য কতো কল করেছি কিন্তু তুমি রিসিভ করো নাই৷ যানো তোমার জন্য কতো কষ্ট হয়েছে আমাদের "।
সমুদ্র গিয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরে আর বলে -
"- আম্মু তোমাদের ও আমি অনেক মিস করেছি কিন্তু কি করব বলো। দাদু পাঁচ বছর আগে যা করেছে তার জন্য এতোবছর দূরে থাকতে হয়েছে আমাকে কিন্তু এখন এই ভুল সংশোধন করতে এসেছি আমি। উঁকিল সাহেব কি সব কাগজ রেডি করেছে আমি এখুনি সাইন করতে চাই "।
সমুদ্রের কণ্ঠ শুনে পাশে থাকা একটা মেয়ে শান্ত দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে দেখে। সেই বিয়ের দিন সমুদ্রকে দেখেছে সে আজ পাঁচ বছর পর আবার দেখছে। একটা চেয়ারের মধ্যে বসে রয়েছে নোটন তার চোখ এখনো সমুদ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ। নিজের স্বামীকে একনজর দেখার জন্য সে পাঁচবছর অপেক্ষা করছে তবে আজকে হয়তো তার শেষ দেখা। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে তার আর সমুদ্রের মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।
নোটনের কল্পনার মধ্যে উঁকিল সাহেব কাগজ নিয়ে আসে যেটা দেখে নোটন একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চোখ সরিয়ে নেয়। সমুদ্র উঁকিলকে দেখে চেয়ারে বসে পড়ে তবে পাশের চেয়ারে যে নোটন বসে রয়েছে সেইদিকে তাকায় না। সমুদ্র গম্ভীর কণ্ঠে বলে -
"- উঁকিল সাহেব ডিভোর্সের কাগজ কি সব রেডি? আমি আর সময় নষ্ট করতে চাই না এখুনি সাইন করে সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে চাই "।
উঁকিল সব কাগজ একবার ভালো করে দেখে এরপর নোটনের দিকে দেখে। নোটন চোখ দিয়ে একটা ইশারা দেয় উঁকিল কাগজ আর কলম সমুদ্রের সামনে দেয় আর বলে -
"- জি সমুদ্র স্যার সব পেপার রেডি হয়ে গেছে। আপনি শুধু সাইন করেন পরের বাকি বিষয় আমি সামলে নিবো "।
সমুদ্র কাগটা দেখে অনেক খুশি হয় সেইজন্য সে পেপারে কি লেখা আছে সেটা না পড়েই সেখানে সাইন করে দেয়। সমুদ্র সাইন শেষে কাগজ আর কলম নোটনের দিকে এগিয়ে দেয় কিন্তু ওর দিকে একবার দেখে না। নোটন চোখের কোনো এক বিন্দু জল রেখে কাগজে সাইন করে দেয় এরপর নাবিলা চৌধুরী বলে -
"- নোটন এই নাও তোমার কাবিনের টাকা আজকের পর থেকে চৌধুরী বাড়ি বা আমার ছেলের কারো থেকে কোনো জিনিসের প্রত্যাশা তুমি করবে না। সমুদ্র চলো বাসায় যাওয়া যাক খুব তাড়াতাড়ি তোমার আর রাইমার বিয়ে দিবো আমি।
সমুদ্র কথাটা শুনে চেয়ার থেকে উঠে চলে যায় পাশে ফিরে একবার নোটনের দিকে ফিরে ও দেখে না। চৌধুরী বাড়ির সবাই আদালত থেকে তাদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয় তারা আজকে অনেক খুশি। অন্যদিকে নোটন এখনো উঁকিলের সামনে চেয়ারে বসে রয়েছে নোটন নিজের চোখের পানি মুছে নেয় আর বলে -
"- উঁকিল সাহেব এই নেন আপনার টাকা। এইবার আমার জিনিস আমাকে ফিরিয়ে দেন এই পাঁচটা বছর অপেক্ষা করেছি শুধু মাএ এই একটা কাগজের জন্য।আশা করি আমি যেমন করে কাগজে সবকিছু লিখতে বলেছি আপনি তাই করেছেন "।
উঁকিল নোটনের সামনে থাকা ব্যাগেন চেইন খুলে টাকা দেখে নেয় এরপর হাতে থাকা কাগজটা নোটনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে -
"- ম্যাম আমি সবার সাথে বেঈমানি করি না দেখে নেন কাগজে সব ঠিক করে লেখা আছে। আর সমুদ্র চৌধুরী যে নিজে এই কাগজে সাইন করেছে সেটা ওই সিসিটিভি ভিতরে রেকর্ড আছে। সো আপনার কাজ ডান ম্যাম "।
নোটন পেপারটা ভালো করে দেখে নেয় এরপর একটা ডেভিল হাসি দিয়ে উঁকিলের কেবিন থেকে বের হয়ে যায়। এতোবছর সকল অত্যাচার, অপেক্ষা সবকিছু সয্য করেছে শুধু দুইটা কাগজের জন্য এইবার চৌধুরী বাড়িকে কে বাঁচাবে নোটন কথাটা ভেবে হেঁসে ফেলে। নোটনের ফোনে একটা কল আসে ফোন হাতে নিয়ে দেখে তার বাবা কল করেছে। নোটন বলে -
"- হ্যালো আব্বু বলো। এখন ওখানের অবস্থা কেমন ডক্টর কি বলেছে সবকিছু কি ঠিক আছে আমাকে কি আসতে হবে.
-" না নোটন তোমাকে আসতে হবে না ডক্টর বলেছে সব ঠিক আছে কোনো সমস্যা নাই। আচ্ছা তোমার কাজ কি হয়েছে সমুদ্র কি কাগজে সাইন করে দিয়েছে? কোথাও সবটা বুঝতে পেরে যায় নাই তো?
"- আরে কাম অন আব্বু তুমি কি করে ভাবলে যে নোটন কোনো পরিকল্পনা করবে আর সেটা কেউ বুঝতে পারবে। এই চৌধুরী বাড়ির মানুষ এতো বছর যখন আমার আসল চেহারা ধরতে পারে নাই এখনো পারবে না ।কাজ হয়ে গেছে এইবার শুধু প্রতিশোধ চৌধুরী পরিবার জানে ও না তাদের এক ভুলের জন্য কি কি হতে চলেছে তাদের সাথে "।
নোটন কথাটা বলে উচ্চ স্বরে হাঁসে আর অন্যদিকে চৌধুরী বাড়িতে আজকে উৎসব অনুষ্ঠান হচ্ছে। পাঁচবছর পর চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে অনেক বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী আহনাফ চৌধুরী একমাত্র ছেলে বলে কথা অনুষ্ঠান অবশ্যই করতে হবে।
নোটন আর সমুদ্রের বিয়ে হয়েছে পাঁচবছর আগে সমুদ্রের দাদার জন্য। সমুদ্রের দাদা মিস্টার আনিক চৌধুরী অনাথ নোটনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে আশ্রয় দেয়। সমুদ্র যখন বড়ো হয় তখন ওনি জোর করে নোটনের সাথে সমুদ্রর বিয়ে দেয় যাতে চৌধুরী বাড়ির কারো সম্মতি ছিলো না। সমুদ্র শুধু তার দাদুর অসুস্থতার জন্য নোটনকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করে কিন্তু একজন অনাথ গরিব মেয়েকে সে কখনো নিজের বউ হিসাবে মেনে নিতে চাই নাই।
সমুদ্র বিয়ের দিন রাতে নোটনকে রেখে বিদেশে পড়াশোনা করতে চলে যায় এরপর আর পাঁচবছের মধ্যে ফিরে আসে নাই। বাড়ি থেকে অনেকে তার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছে কিন্তু সমুদ্র কারো ফোন রিসিভ করে নাই। মাএ একমাত্র আগে অনিক চৌধুরী অসুস্থতার কারণে মৃত্যু বরণ করে। দাদুর মৃত্যুর কথা শুনে সমুদ্র দেশে ফিরে আসে তবে সে শর্ত দেয় একমাত্র যদি নোটনের সাথে তার বিয়ে হয় তাহলে শুধু সে চৌধুরী বাড়িতে ফিরবে। সমুদ্রের কথা অনুসারে আজকে নোটন আর সমুদ্রের ডিভোর্স হয়েছে আর সে চৌধুরী বাড়িতে ফিরে এসেছে।
রাতে চৌধুরী বাড়িতে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে প্রায় শহরের সব ধনী ব্যক্তি এখানে উপস্থিত হয়েছে। আহনাফ চৌধুরী সবাইকে ওয়েলকাম করে এরপর সমুদ্র আর রাইমা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে। বাড়ির সবাই উপস্থিত হয় সবার চোখে মুখে খুশির ঝলক সমুদ্র পাশে থাকা রাইমাকে বলে -
"- রাইমা আজকে আব্বু তোমার আর আমার বিয়ের ঘোষণা করবে কয়েকদিনেন মধ্যে আমাদের বিয়ে হবে। ফাইনালি তুমি আর আমি সারাজীবন একসাথে থাকবো আই এম সো হ্যাপি রাইমা "।
"- হুম সমুদ্র আমি ও অনেক খুশি।তোমার আর আমার এতোদিনের রিলেশন পূর্ণতা পাবে ইউ আর অনলি মাই সমুদ্র "।
সমুদ্র আর রাইমার কথা মধ্যে আহনাফ চৌধুরী একটা মাইক নেয় আর বলে -
"- আপনাদের সকলকে আমাদের পার্টিতে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে পাঁচবছর পর আমার ছেলে সমুদ্র পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছে তার ওরর্নারে এই পার্টি। তবে আরেকটা কারণ রয়েছে সেটা হলো আমার ছেলে একজনকে ভালোবাসে তার নাম হলো রাইমা। তাই সমুদ্র আর রাইমার আজকে এনগেজমেন্ট হবে "।
সমুদ্র আর রাইমা দুইজনে একটু শকর্ড হয় তাদের এনগেজমেন্টের বিষয়ে তাদের ধারণা ছিলো না। তবে দুইজনে অনেক খুশি হয় এরপর নাবিলা বেগম দুইটা রিং নিয়ে আসে আর বলে -
"- সমুদ্র রাইমাকে এই রিংটা পড়িয়ে দাও।
সমুদ্র রিং হাতে নেয় সবাই হাততালি দিতে থাকে রাইমা হাত বাড়িয়ে দেয়। সমুদ্র যখন রাইমাকে রিং পড়াতে যাবে তার আগে গেইটের দিকে থেকে একজন মাইক নিয়ে বলে -
"- আরে এতো তাড়া কোনো বিয়ে করার মিস্টার সমুদ্র চৌধুরী। বউ থাকতে অন্য মহিলাকে বিয়ে করা একদম ঠিক না "।
হঠাৎ করে কারো কথা শুনে সমুদ্র সামনের দিকে তাকায় তার হাত থেকে রিংটা পড়ে যায়। রিংটা গড়িয়ে গড়িয়ে গেইটের সামনে চলে যায় নোটন নিচুঁ হয়ে রিংটা তুলে নেয় এরপর বলে -
"- আরে সমুদ্র কি করলেন আপনি এইটা আংটিটা ফেলে দিলেন। অবশ্য আপনার কোনো দোষ নাই আংটি হোক বা মানুষ সবসময় নিজের আসল মালিকের কাছে থাকতে চাই.
নোটন কথাটা বলে রিংটা নিজের হাতে পড়ে নেয় এরপর হেঁটে সকলের সামনে চলে আসে। নাবিলা বেগম সহ বাড়ির সবাই অবাক নোটনকে দেখে সমুদ্র নিজে ও ওর দিকে তাকিয়ে দেখছে। পাঁচবছর আগে যখন নোটনকে দেখছিলো তখন কেমন যানি বাড়ির কাজের লোকের মতো চেহারা ছিলো। কিন্তু আজকে দেখতে কোনো নায়িকার চেয়ে কম মনে হচ্ছে না। নাবিলা বেগম গিয়ে নোটনের সামনে দাঁড়িয়ে বলে -
"- এই মেয়ে তুমি এই বাড়িতে কোনো এসেছো? তোমার আর সমুদ্রর ডিভোর্স হয়ে গেছে তাহলে কোনো এসেছো। এই চৌধুরী বাড়িতে আসার কোনো অধিকার তোমার নাই "।
নোটন একটু হাসে কথাট শুনে আর বাচ্চাদের মতো করে বলে -
"- এইসব কি বলছেন আপনি শাশুড়ী আম্মু ডিভোর্স মানে কার ডিভোর্স। সমুদ্রর সাথে আমার কখনো কোনো ডিভোর্স হয় নাই আর এই চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলের বউ আমি সব অধিকার আছে আমার "।
পার্টিতে থাকা অন্য মানুষ একে অপরের সাথে কথা বলতে থাকে এই বিষয়ে। আহনাফ চৌধুরী বলে -
'- এই ছোটলোকের মেয়ে কি বলছো তুমি এইসব। একটু আগে কোর্টে উঁকিলের সামনে ডিভোর্স হয়েছে তোমাদের তুমি সেই পেপারে সাইন করছো। তুমি দাঁড়া ও আমি উঁকিলকে কল করে ডিভোর্স পেপার নিয়ে আসতে বলছি "।
"- কোন পেপার নিয়ে আসতে বলছেন এইটা শশুড় আব্বুকিন্তু এই উঁকিলের কাছে না বরং আমার কাছে রয়েছে।তবে শশুড় আব্বু আপনার কাছে এইটা ডিভোর্স পেপার মনে হচ্ছে কিন্তু এখানে কোথাও ডিভোর্স শব্দটা নাই। এইটা কনটাক্ট পেপার যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে সমুদ্র চৌধুরী আর নোটন চৌধুরী ছয়মাসের জন্য বিবাহ বন্ধদের জন্য আবদ্ধ হয়েছে। ছয়মাস পরে তারা যদি একসাথে থাকতে না পারে তাহলে দুইজনে ডিভোর্স নিতে পারে তবে ছয়মাসের জন্য নোটন চৌধুরী সমুদ্র চৌধুরী আইনি ভাবে ওয়াইফ "।
সমুদ্র এতোখন নোটনের কথা শুনেছিলো তবে কিছু বলে নাই কিন্তু এখন খুব বেশি হয়ে গেছে। নাবিলা বেগম নোটনের হাত থেকে পেপার নিয়ে পড়তে থাকে নোটন এতোখন যা লেখা ছিলো সেখানে সত্যি তা লিখা রয়েছে। আহনাফ চৌধুরী বলে -
"- এই উঁকিল কি করে এইরকম করতে পারলো? ওর এতো বড়ো সাহস হয় কি করে "।
নোটন কথাটা শুনে হাসে আর বলে -
"- টাকার জন্য আব্বু। আপনি না বলেন টাকা দিয়ে সব কিনা যায় আমি সেটায় করেছি উঁকিলকে টাকা দিয়েছি ও আমার কাজ করে দিয়েছে "।
সমুদ্র আসে নোটনের সামনে আর বলে -
"- তোমার মতো ছোটলোক মেয়ের থেকে এর চেয়ে বেশি কি আশা করতে পারি আমরা। পাঁচবছর আগে তোমার আসল চেহারা আমার সামনে এসে গিয়েছিলো যার জন্য বিদেশে চলে যায়।এই পেপারে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে আমি আবার বিদেশে চলে যাবো আর ছয়মাস পর ফিরে এসে আবার তোমাকে ডিভোর্স দিবো "।
সমুদ্রের কথা শুনে নোটন উচ্চ শব্দে হেঁসে উঠে মানে সত্যি সমুদ্র মনে করেছে নোটন এতো সহজ পরিকল্পনা করেছে। নোটন বলে -
"- আরে আমার বোকা জামাই তুমি কি মনে করো এই নোটন এতো সহজে তোমাকে বিদেশে যেতে দিবে। নোটন ঠিক কতটা খারাপ আর লোভী সেটা তুমি এখনো জানো না। এই পাঁচটা বছর এই চৌধুরী বাড়িতে পরে থেকেছি তোমার কি মনে হয় শুধু শুধু একদম না।
"- তুমি বলতে কি চাও?
"- দেখো সমুদ্র তুমি যদি এখন বিদেশে যাও তাহলে আমি তোমার নামে কেস করব। নিজের বউকে দেশে রেখে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে সেই অভিযোগ তাছাড়া ওই পেপারে স্পষ্ট লেখা আছে যদি তুমি আমার সাংসার না করো তাহলে তোমাকে জেলে যেতে হবে। এবং তোমার সকল পড়াশোনার ডিগ্রি বাতিল করে দেওয়া হবে। এখন দেখো তুমি কি করবে?
সমুদ্রের চাচি মলি বেগম সবকিছু শুনে সে এসে নোটনের গালে যখন থা,প্পড় দিতে যাবে তার আগে নোটন তার হাত ধরে ফেলে আর বলে -
"- আরে চাচি আম্মু এতো সাহস ভালো না একদম ভালো না।আমি সেই আগের নোটন না যে যখন ইচ্ছে তখন থাপ্প,ড় মারবেন লাথি মারবেন হুম। এই বাড়ির মালিক আমি এই সম্পত্তির মালিক আমি সো এই হাতটা ভে,ঙে দিতে দু'মিনিট ও লাগবে না "।
বাড়ির মালিক কথাটা শুনে সমুদ্র বলে -
"- তুমি এই বাড়ির মালিক মানে নোটন? কি বলছো এইসব.
আহনাফ চৌধুরী আর নাবিলা চৌধুরী নোটনের এই কথা শৃনে অবাক পার্টির সবাই কি হচ্ছে সেটা বুঝতে পারে না। নোটন হেঁসে বলে -
"- ওহ আমার কাছে আরেকটা কাগজ রয়েছে যেটা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। এই নেন সেই কাগজ এখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে অনিক চৌধুরী মারা যাওয়ার আগে তার সমস্ত সম্পত্তি নোটন চৌধুরীর নামে লিখে দিয়েছে "।
আহনাফ আর বাড়ির সবাই কাগজটা পড়ে অবাক হয়ে যায় এখানে যা লেখা আছে সে অনুসারে সত্যি নোটন এই বাড়ির মালিক। নোটন কাগজটা দিয়ে ওখানে একটা চেয়ারে বসে যায় আর মনে মনে বলে -
"- চৌধুরী পরিবার আপনারা ভাবতে পারবেন না এই নোটন কি কি করবে আপনাদের সাথে। খুব অহং,কার আপনাদের টাকা নিয়ে তাই না এই শহরের সবচেয়ে বড়োলোক থেকে যদি শহরের সবচেয়ে ভিখারি না বানিয়ে দেয় তাহলে আমার নাম নোটন না। আর সমুদ্র বউ রেখে খুব বিয়ে করার শখ তাই না এই শখ কি করে মিটাতে হয় সেটা নোটনের ভালো করে জানা। শুধু কয়েকটা দিন সময় দেন সব বুঝিয়ে দিবে নোটন কি জিনিস। আর খেলা হবে "।
চলবে...
দ্বিতীয় পার্ট আসলেই আপডেট দেয়া হবে। অনুগ্র করে সঙ্গে থাকুন।
কোন লেখক যদি তার নিজের লাখ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে চায় তাহলে যোগাযোগ করুন।
ইমেইলঃ [email protected]
ধন্যবাদ
লেখকঃ আদ্রিতা জান্নাত অরিন
0 Comments:
Note: Only a member of this blog may post a comment.